সাহিত্য কি? সাহিত্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

5093
3
সাহিত্য কি? সাহিত্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

সাহিত্য হল আক্ষরিক ক্রিয়া, চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতার সাথে লেখা, পড়া, এবং কথা বলার মাধ্যমে একত্রিত কল্পনার একটি সৃজনশীল রূপ। সাহিত্য মানব সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ, জীবনী, অনুবাদ, বিবৃতি এবং অন্যান্য সাহিত্যকর্মের একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহ। সাহিত্যের মাধ্যমে লেখকরা তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং মতামত প্রকাশ করেন এবং পাঠকদের সাথে যোগাযোগ করেন। এটি একটি সমাজের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং শারীরিক পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং একটি সমাজের বিভিন্ন মূল মূল্যবোধ, অর্থ এবং বক্তৃতার জন্ম দেয়।

সাহিত্য লেখা এবং পড়া মানুষের জীবন এবং অস্তিত্বের বিভিন্ন দিকের মধ্যে সম্পর্ক অন্বেষণ করে। এটি ভাষা, শৈলী, ছন্দ, বর্ণনা এবং কল্পনা নিয়ে কাজ করে এবং একটি সাহিত্যকর্মের একটি অত্যন্ত নান্দনিক দিক রয়েছে। সাহিত্যের মাধ্যমে, লেখক কল্পনার সত্য প্রকাশ করতে পারেন এবং সাহিত্যকে ব্যবহার করে পাঠকদের বিশ্ব ও মানবতা সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারেন।

সাহিত্য কল্পনা, শিল্প এবং বিচারের সাথে জড়িত এবং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসাবে মূল্যবান। সাহিত্য মানুষের চিন্তার উন্নতি, বিকাশ এবং সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখে।

সাহিত্য কাকে বলে?


সাহিত্য হলো ভাষার সৌন্দর্য এবং শব্দের মাধ্যমে চিত্রিত মানব অবস্থা, মনোভাব, দৃষ্টিকোণ, দর্শন, মত, মূল্যবোধ, ঐতিহ্য, ইতিহাস, এবং সমাজের বিভিন্ন দিক নির্বিচারে বর্ণনা করার একটি শৈলী। সাহিত্য লেখন, পঠন, এবং বোঝার মাধ্যমে মানব অসীম বিশ্বাস, অবস্থা, এবং অবস্থানের সুন্দর বর্ণনা করে। সাহিত্যের মাধ্যমে লেখকরা স্বপ্ন, ভাবনা, ওপেক্ষা, ওমানন, এবং বিচার নিয়ে বক্তব্য রচনা করে তা পরমাণুভাবে প্রকাশ করেন। সাহিত্য একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে এবং সাহিত্যের মাধ্যমে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, উপন্যাস, নির্বাচনী গদ্য, এবং অন্যান্য লেখার শ্রেণীগুলি রচনা করা হয়। এটি সমাজের ভাষাও প্রতিষ্ঠান করে এবং সাংস্কৃতিক সংক্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধনা হতে পারে।

বাংলা সাহিত্য কি?

বাংলা সাহিত্য বাঙালি জাতির সাহিত্যিক প্রস্থান বা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠান, যেখানে বাঙালি লেখকরা বা শিল্পীরা তাদের চিন্তা, ভাবনা, অভিজ্ঞান, গল্প, কাব্য, উপন্যাস, নাটক, গান, গদ্য, এবং অন্যান্য সাহিত্যিক কৌশল ব্যবহার করে প্রকাশ করেন। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অমূল্য সাংস্কৃতিক উৎস এবং বাঙালি ভাষার মৌলিক আধার।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বিবিধ। বাংলা সাহিত্যের প্রধান পাঁচটি কাল হল:

  1. আদি কাল: বাংলা সাহিত্যের আদি কালে বৃহত্তর পুরাণ গ্রন্থ, ছান্দোগ্য উপনিষদ, এবং বৈষ্ণব পদাবলী প্রসংগের উপন্যাসিক আদি লেখা হয়।
  2. মধ্যযুগ: মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয় এবং কাব্য, পদাবলী, এবং ধর্মগ্রন্থ লেখা হয়। এই কালে জয়দেবের “গীতগোবিন্দ” এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর শিষ্যদের কাব্য লেখা হয়।
  3. রবীন্দ্রনাথ থাকুরের কাল: রবীন্দ্রনাথ থাকুরের কাব্য এবং গানের যুগ, যা বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত।
  4. প্রজন্মকাল: এই কালে বাংলা সাহিত্যে নতুন নতুন উপন্যাসিক ও কাব্য রচনা হয়, এবং সামাজিক সমস্যার উপর লেখা হয়।
  5. আধুনিক কাল: বর্তমান সময়ে বাংলা সাহিত্য আধুনিক ধারায় প্রবৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বিভিন্ন সাহিত্যিক প্রস্থানে নতুন লেখকরা এবং তাদের রচনার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিকে চিন্তা এবং বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করছেন।

বাংলা সাহিত্যের এই বিশাল ধারা প্রাচীন থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত বাংলা ভাষার সৌন্দর্য, সাহিত্যিক উৎস, এবং সমৃদ্ধির স্ত্রীলিপি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাঙালি সাহিত্যের একটি মৌলিক অংশ এবং বাঙালি সংস্কৃতির গর্বের সূত্রে আবদ্ধ আছে।

কবিতা কি?


কবিতা হলো শব্দ, সৃজনশীলতা, এবং ভাবনার মিশ্রণ একটি সাহিত্যিক রূপ। এটি সাধারণভাবে রচনা করা হয় ছন্দ, বর্ণ, কথা, এবং রসের সম্মিলিত মিশ্রণে একটি আকৃতি তৈরি করে। কবিতা একটি কথার জাদুতে যে ভাবনা, অভিজ্ঞান, বা মূল্যবোধনা ব্যক্ত করে, তা সাধারণভাবে প্রবহণ করার স্বাধীনতা রাখে।

একটি কবিতা সাধারণভাবে একাধিক চরণে বিভক্ত হয়, যেখানে প্রতিটি চরণ স্থানীয় কথা, ছন্দ, এবং আলঙ্কারের মাধ্যমে বিন্যাসিত হয়। কবিতা কিছু সময় একটি কিংবা একাধিক কাব্যপ্রযুক্তি (metaphor) এবং অলঙ্করণ (simile) ব্যবহার করে বিশেষভাবে সাদাকাব্যে (literal language) তুলে ধরে।

কবিতা নির্দিষ্ট মাত্রা এবং কাব্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে লেখা হয় এবং সাধারণভাবে রাস্তা-রেখা ছাপার জন্য সাহিত্যিক স্ত্রী অথবা পুরুষ লেখকের একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান এবং ভাবনার স্বাধীন মাধ্যম হয়। কবিতা আবার সাধারণভাবে স্বাধীন চিন্তা, আলোচনা, এবং রচনার স্বাধীনতার প্রতীক হয়। এটি সাহিত্যের একটি মুখ্য রূপ এবং ভাষা, সৃজনশীলতা, এবং মানব অভিজ্ঞানের গভীর দিকে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

ছোটগল্প কি?


ছোটগল্প হলো একটি সাহিত্যিক রূপ, যেটি সংক্ষেপে একটি সংক্ষিপ্ত গল্প বা কাহিনী বর্ণনা করে। এটি সাধারণভাবে একটি সংক্ষিপ্ত সত্য বা কাল্পনিক ঘটনার কাহিনী হয়, যা একটি সময়, একটি স্থান, একটি কার্যপ্রণালী, এবং একটি প্রধান চরিত্রের সাথে সংক্ষেপে বর্ণনা করে।

ছোটগল্প সাধারণভাবে একটি সিন্দুক ঘটনার মুখ্য আপাতত সাধারণ সামগ্রিক সমস্যা, সম্প্রীতি, প্রতিস্থাপন, বৈচিত্রিক ঘটনা, বা অদ্বিতীয় অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়। এই ছোটগল্পগুলি সাধারণভাবে একটি প্রধান মেসেজ বা শিক্ষা দেয় এবং পাঠকের চিন্তা এবং ভাবনার জগতে দ্বিগুণিত হতে পারে।

ছোটগল্প সাধারণভাবে একটি দ্বিতীয় জগতে পড়ার অসুবিধা ছাড়া কম সময়ে পড়া যেতে সাহায্য করে, এবং সংক্ষেপে অভিজ্ঞ এবং মনোরম কাহিনীর সৃজনশীলতা এবং বান্ধব্য উপাস্য করে। প্রস্তাবিত সমস্যাগুলির সমাধান এবং ঘটনার উত্তারণ ছোটগল্পের মুখ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে থাকতে পারে।

নাটক কি?

নাটক হলো একটি সাহিত্যিক রূপ, যেখানে একটি কাহিনী বা গল্প বিন্যাসিত হয় এবং এটি একটি দল বা অদ্ভুতের কাছে প্রদর্শন করা হয়। নাটক সাধারণভাবে একটি মহাকাব্য বা গল্পের আবাসন হয়, যেখানে কিছু চরিত্র এবং সীমাবদ্ধ মাধ্যমে একটি ঘটনা বা কাহিনী নির্দিষ্ট সময়ে প্রদর্শন করে।

নাটকের সাথে সাথে এটি চরিত্রদের জীবন, চরিত্র, এবং ভাবনা ব্যক্ত করতে সাহায্য করে, এবং এটি আপেক্ষিকভাবে দর্শকের সাথে মোহযাত্রা তৈরি করে। নাটকে অভিনয়কারী অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা গল্পের চরিত্রগুলি জীবনে প্রকাশ করে এবং দর্শকের সামগ্রিক অবস্থা এবং বাস্তবতা বোঝানোর জন্য অভিনয় করে।

নাটকে কথার পরিস্থিতি, সময়, এবং স্থান গুলি ব্যবহার হয়, এবং এটি সাধারণভাবে নিয়মিত অঙ্কন প্রদর্শনের জন্য তৈরি করা হয়, যেখানে একটি লাইভ অডিয়েন্সের সামনে প্রদর্শিত হয়। নাটকে স্বাধীন প্রকৃতি এবং সাহিত্যিক স্বাধীনতা থাকে, এবং এটি আবেগ, বিচার, ও বিমর্শের মাধ্যমে বিভিন্ন সাহিত্যিক তত্ত্ব এবং সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করে।

উপন্যাস কি?

উপন্যাস হলো একটি মৌলিক সাহিত্যিক রূপ, যেখানে একটি বৃদ্ধ কাহিনী বা গল্প বিন্যাসিত হয়, এবং এটি একটি বিস্তৃত সময়, স্থান, ও চরিত্রের মধ্যে ঘটে। উপন্যাসে কাহিনী একটি দ্বিতীয় জগতে পড়া হয় এবং এটি সংক্ষেপে একটি প্রচুর সংখ্যক ঘটনা, চরিত্র, এবং স্থানের সাথে বর্ণিত হয়।

উপন্যাস সাধারণভাবে বৃদ্ধ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান, চরম চরিত্রের বিকাশ, এবং প্রচুর বর্ণনা এবং ব্যক্তিগত ভাবনা সহ সুলভ হয়। এটি একটি পুরো গল্প বা কাহিনীকে আবাসন দেয় এবং সংক্ষেপে চরম ব্যাপকতা এবং সময়ের দিকে চরম স্পর্শ দেয়।

উপন্যাসে সাধারণভাবে একটি সামগ্রিক মেসেজ, বিচার, বা প্রতিষ্ঠান বা সমাজের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়, এবং এটি চরিত্রের ব্যক্তিগত বিকাশের সাথে মিশে থাকতে পারে। এটি সাধারণভাবে একটি লেখকের মতো প্রতিস্থাপন, বিচার, ও রূপের পরিবর্তন নিয়ে কাহিনী তৈরি করতে সাহায্য করে, এবং পাঠকদের চিন্তা এবং ভাবনা বিকাশ করার জন্য ব্যাপক সৌজন্য সরবরাহ করে।

প্রবন্ধ কি?

প্রবন্ধ হলো একটি লেখার রূপ, যেখানে একটি বিষয় বা সূচনা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, বা মন্তব্য দেওয়া হয়। এটি সাধারণভাবে নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি লেখকের ব্যক্তিগত মতামত, সম্পর্ক, অথবা সম্প্রদায়ের মতামত বা তত্ত্ববদ্ধ সাধারণভাবে প্রদর্শন করে।

প্রবন্ধে বিশেষ বিষয় নিয়ে সূচনা করা হয়, এবং সাধারণভাবে একটি নির্দিষ্ট ধারণা বা মূল্যবোধনা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য হয়। প্রবন্ধে প্রমুখ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যেসব কারণে স্পষ্ট করে তা ব্যবহার করা হয় এবং যে সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয় তা প্রতিষ্ঠান করা হয়।

প্রবন্ধ সাধারণভাবে তথ্য, তত্ত্ব, সামাজিক বৈশিষ্ট্য, পরিস্থিতি, বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং পাঠকদের মতামত বা চিন্তা তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণভাবে সংশোধিত, সূক্তিমূলক সম্মতি, বা আলোচনামূলক বিতর্কের জন্য প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে, এবং প্রতিষ্ঠিত জার্নাল, ম্যাগাজিন, ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হতে পারে।

জীবনী কি?

জীবনী হলো একজন ব্যক্তির জীবনের ঘটনা, অভিজ্ঞান, এবং সাহিত্যিক কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত কাহিনী, যা একটি ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মচর্যায় উল্লিখিত হয়। এটি সাধারণভাবে একজন বিশেষ ব্যক্তির জীবনের বৃদ্ধান্ত এবং মহৎ ঘটনাগুলি নির্দেশ করে, যেটি সংক্ষেপে বা বিস্তারিত রূপে প্রদর্শিত হতে পারে।

জীবনী সাধারণভাবে একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি, সাহিত্যিক শ্রেণির লোক, রাজনৈতিক নেতা, গবেষক, শিক্ষাবিদ, কলা শিল্পী, বিজ্ঞানী, অথবা অন্যান্য বিষিষ্ট আচরণের ব্যক্তির জীবনের তথ্য দেয়। এই তথ্যে সাধারণভাবে একজন ব্যক্তির শিক্ষা, পেশা, কাজের অভিজ্ঞান, চরিত্র, এবং সাহিত্যিক কর্মচর্যা সম্মত হয়। জীবনী সাধারণভাবে তার জীবনের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ও তার ব্যক্তিগত আলোচনা নিয়ে লেখা হয়।

জীবনী আমরা প্রস্তুত ও গত সময়ের প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদের জীবন এবং কর্মচর্যার সাথে বেক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে, এবং তাদের অভিজ্ঞান ও যাত্রা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এবং স্বদেশের সমাজের সাথে সম্পর্ক প্রদান করে।

বিবৃতি কি?

বিবৃতি হলো একটি কাগজের ডকুমেন্ট বা লেখা, যেখানে একটি বিশেষ ঘটনা, ঘটনাবলী, অথবা বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বিবৃতি সাধারণভাবে একটি ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয় এবং তা প্রস্তুত করার উদ্দেশ্য সম্প্রদায় বা সমাজে বোঝানো বা দর্শানো।

বিবৃতি একটি সূক্তিমূলক বা তত্ত্বমূলক লেখা হতে পারে এবং সময়, স্থান, অথবা সূচনা সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত হতে পারে। এটি সাধারণভাবে প্রকাশিত নিউজ রিপোর্ট, মতামত লেখা, জর্নালিস্টিক লেখা, সাহিত্যিক বিষয়বস্তু, ইত্যাদি নিয়ে তৈরি হতে পারে।

বিবৃতি সাধারণভাবে নিবন্ধ বা প্রবন্ধের সুপ্রস্তুতি থাকে না এবং সাধারণভাবে তথ্য প্রদান করার উদ্দেশ্য থাকে। এটি অনুভাগের সাথে সাথে সম্বোধন বা অপূর্বাচার করে না, বরং বৈষম্য বা প্রতিস্থাপন নিয়ে আলোচনা করে না।

সাহিত্য কেন পড়া উচিত?


সাহিত্য পড়া বা সাহিত্যের অধ্যয়ন কেন উচিত সেটা সম্পর্কে কিছু কারণ ও সুবিধা বিবেচনা করতে পারে:

  1. মানব সমাজের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি জানা: সাহিত্যে নিবন্ধন হয় মানব জীবনের বিভিন্ন দশা ও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে। সাহিত্যের মাধ্যমে আপনি মানব সমাজের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং সাংস্কৃতিক পর্যায়গুলি সম্পর্কে জানতে পারেন।
  2. বিচারশীলতা এবং সমস্যা সমাধান: সাহিত্য বই এবং উপন্যাসের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে সাহিত্যে নিবন্ধন করা যেতে পারে, এবং বিচারশীলতা উন্নয়নে সাহিত্য সাহায্যকর হতে পারে।
  3. মানসিক উন্নতি: সাহিত্যের পড়া মানসিক স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য সাহায্যকর হতে পারে। এটি আপনার মনোবল উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার মনোস্থিরতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  4. শব্দার্থ ও ভাষা দক্ষতা: সাহিত্য বই পড়ে আপনি শব্দার্থ এবং ভাষা দক্ষতা উন্নত করতে পারেন, যা আপনাকে আরও ভাল সাক্ষরতা, সাক্ষরিক প্রদর্শন, এবং ভাষার সঠিক ব্যবহারে সাহায্য করতে পারে।
  5. আলোচনার দক্ষতা: সাহিত্যের পড়া আলোচনা করতে আপনার আলোচনা ও বিমর্শের দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  6. ভাবনা এবং সামাজিক পরিচয়: সাহিত্য কথায় এবং চরিত্রের মাধ্যমে ভাবনা এবং সামাজিক পরিচয় নির্মাণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  7. বিনোদন এবং স্বাস্থ্য: সাহিত্য পড়ে মনোরম সময় পাওয়া যায়, এবং এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং স্বাস্থ্যের সুস্থ লাভে সাহায্য করতে পারে।

এই কারণে, সাহিত্য পড়া একটি মৌলিকভাবে শিক্ষা, মনোরম সময় পাওয়া, এবং মানবিক উন্নতির একটি উপায় হতে পারে। তবে, সাহিত্য পড়া প্রতিটি ব্যক্তির পছন্দ এবং প্রয়োজনমূলক অভিজ্ঞতা হতে হবে, এবং সাহিত্যের বিভিন্ন প্রকারের বই এবং লেখার সাথে মিলিয়ে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্য পাতে হবে।

আখিরুল ইল্লিন
WRITTEN BY

আখিরুল ইল্লিন

জন্ম টাঙ্গাইলের সখিপুরে। বেড়ে উঠাও সেখানেই। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো। বর্তমানে ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি দুর্দান্ত এ বালক বিভিন্ন ধরনের ভলান্টিয়ারিং কার্যক্রমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কবিতা লেখা তার শখ, পাশাপাশি গল্পও লেখে সে। গল্প, কবিতা কিংবা সাহিত্যের প্রতি গভীর এক ভালোবাসা থেকেই সে প্রতিষ্ঠা করে 'সাহিত্য রস' নামে এক সাহিত্য সংগঠন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 thoughts on “সাহিত্য কি? সাহিত্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

  1. বাংলা সাহিত্য বাঙালি জাতির সাহিত্যিক প্রস্থান বা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠান, যেখানে বাঙালি লেখকরা বা শিল্পীরা তাদের চিন্তা, ভাবনা, অভিজ্ঞান, গল্প, কাব্য, উপন্যাস, নাটক, গান, গদ্য, এবং অন্যান্য সাহিত্যিক কৌশল ব্যবহার করে প্রকাশ করেন। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অমূল্য সাংস্কৃতিক উৎস এবং বাঙালি ভাষার মৌলিক আধার।

  2. […] বসন্ত নিয়ে লেখা কয়েকটি বিখ্যাত কবিতায় দেখে নেওয়া […]

  3. বাহ,সুন্দর লিখেছেন আখিরুল ইল্লিন।