সাহিত্য রসে মেইল করা হয়েছে:
প্রলয় | রুদ্র নাগ
নাম: রুদ্র নাগ
স্কুল : কুমিল্লা জিলা স্কুল
হায় রে মাতৃভূমি,
আমার ভাইয়ের রক্তে অর্জিত সপ্নের দেশ তুমি।
তোর জন্য হারিয়েছি আমরা মা বাবার আদর,
তোর জন্য ঘোষিত আমরা রাজাকার,আল-বদর।
আমরা যদি রাজাকার হই,তোর কি পরিচয়?
আমাদের মৃত্যুতে উল্লাসিত তুই এইকি তোর বিজয়?
মুর্খের দেশ,অজ্ঞের দেশ,অজ্ঞানের দেশ তুই।
জ্ঞানীর দেশ,সপ্নের দেশ সোনার বাংলা কই।
তোর বক্ষে পা ফেলে আজ অজ্ঞরা নেয় শ্বাস
সারা বিশ্ববাসী দেখবে এবার জয় বাংলার বিনাশ।
রক্তের ঋণ | রাজাকার
লেখক: রাজাকার
১৫ জুলাই গণহত্যা
মানবের কন্ঠে জাগ্রত জনতা
জাগ্রত জন্ম ভূমি,
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিশ্রীতি
কোটা বাতিলের পথভূমি,
১৫ জুলাই হত্যা যজ্ঞে রক্তাক্ত ঢাবির মরণ
ভেসে উঠেছে ২৫ মার্চের গণহত্যার ধরন
তবুও আমরা পিছিয়ে নেই
আগেও না কখনো ছিলাম
এই দেশটা আমাদের তোমাদের
হলেও হোক রক্ত ক্ষরণ।
১৬ জুলাই কালরাত:
“ভোরের সূর্যের সাথে আমরা ঋণী,
প্রতিদান প্রশ্নে, রক্তের প্রতি ভালোবাসা।”
আত্মপরিচয়! | আজমির আহমেদ
আজমির আহমেদ
আমি কে……..?
আমি কে?
আমি সেই জন,
যে কোটার বিরুদ্ধে
করে আন্দোলন।
আমি সেই জন,
যে করে অন্যায় বিমোচন।
আমি সেই জন,
যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে
করে রক্ত ক্ষরণ।
আমি সেই জন,
যে রাজাকার উপাধিতে
করে জীবন-যাপন।
আমি সেই জন,
যে পুলিশের গুলিতে
করে মৃত্যু বরণ।
আমি সেই জন,
যাকে সবাই ২০২৪ সালের
কোটা বিরোধী শহীদের
নামে করবে স্মরণ।
বিচারে তো নিজেদের মেধার অধিকার চেয়েছিলো,তাই বলে তাদের জীবনটাই কেড়ে নিলেন।
কলি
কবিতা (POEM) ফেইসবুক গ্রুপ থেকেঃ
রক্তাক্ত রাজপথ | ফাহিমা ইয়াসমিন
আমি ৫২ দেখিনি ৭১দেখিনি
শুনেছি শুধু কানে
রক্ত জবার ইতিহাস, ছিল কষ্ট পেল প্রাণে।
আমি শুনেছি ওগো
এদেশে নাকি রাজাকার এসেছিল
৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে
অবশেষে স্বাধীনতা এলো।
বাঙালি পরিচয় হলো, ওগো বাঙালি পরিচয় হলো
আজ স্বাধীনতার ৫৩ তে
পরাধীনতার শৃঙ্খল পরিয়ে দিল
স্বাধীন দেশে থেকেও কেনো
স্বাধীনতা না হলো
অধিকার চাইতে গিয়ে
আজ রাজাকার উপাধি পেল
আমি ৫২ দেখিনি ৭১দেখিনি
শুনেছি শুধু কানে
আজ তা হলো আমার দেখা
১৫ ই জুলাইতে,
শুনেছি আমি ফেব্রুয়ারির ২১
এলো পরাধীনতার দেশেতে
২৬ মার্চ রুপ নিলো যে
৭১ এর যুদ্ধতে
তবে কেন আজ অন্যায় হয়ে যায়
যুদ্ধে গড়া দেশেতে
স্বাধীন দেশে থেকেও কেনো
২৬ মার্চ এলো
তবে কি আবার যুদ্ধ হবে
আজ স্বাধীন দেশেতে!!!!!!??????
ছাত্রলীগের নরপিশাচ গুলো
ভয়ংকর হানাদার বাহিনী থেকে
মনে রেখো তুমি
আল্লাহ ছাড় দেয়
ছেড়ে দেন নাতো।।।।
আমার বোনের সম্মানে হাত লেগেছে
প্রতিশোধ মোরা নিবো
আমার ভাইয়ের রক্ত ঝড়া রাজপথ
থামাতে পারবে না কেউ
স্বাধীন দেশে থেকেও কেনো
স্বাধীনতা না পেলো?।
আফসোস করে যায়
৩০ লক্ষ প্রান ৭১ এ কেনো গেলো??
৭১ এর মা বোনের সম্মানের মূল্য কি
আজ দেশ বিক্রি হবে????
যুদ্ধ হয়ে যাবে আবার
যুদ্ধ হয়ে যাবে।
আমি৭১ দেখিনি ২৪ দেখিবো
যদি আমার ভাইয়ের রক্ত আর ঝড়ে
স্বাধীন দেশে থেকে ও কেনো
অধিকার আদায় না হবে|
আমি বিবেকের শূন্যতায় বন্দী | সংকোচ
আমি অনেক কিছু বলতে চাই,,
আমি অনেক কিছু লিখতে চাই,
কিন্তু পরক্ষণেই আবার নিস্তব্ধ হয়ে যায়
কলমও থমকে যায়, হৃদয়ে ঝরে রক্তক্ষরণ।
মনুষত্বের বাঁধনে, হেরে যায় বারবার,
সত্যেরা রশিতে বাঁধা, ছুটতে চায় সারাক্ষন।
চোখে যে স্বপ্ন ছিল, ভাঙা মেঘের ফাঁকে,
নীরবতার অন্ধকারে, তা হারিয়ে যেতে থাকে।
শব্দেরা চুপ থাকে, ব্যথায় ভরা মন,
বিবেকের দাহনে, ছটফট করে প্রাণ।
কোথায় সেই আলো, সবার মনে শান্তি আনে?
সমাজের জটিলতায়, কষ্টের বন্যা বাঁধে।
শত সহস্র ,মানুষ, সত্যের পথ হারায়,
অন্ধকারে ডুবে, আলো খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।
সমাজ বিনির্মাণে, আসুক সেই জ্ঞান,
বিবেকের টানে, ছুটুক মানব প্রাণ।
সত্যের আলো ছড়িয়ে, দূর হোক সব মিথ্যা,
কলমের ভাষায়, ফুটুক নব আশা।
মানুষে মানুষে ভালোবাসা, হৃদয়ে আনুক সেতু,
সহিষ্ণুতার পথে, গড়ুক নতুন সূর্য ওঠা।
আলোকিত হোক জীবন, সমাজের প্রতিটি কোণে,
স্বপ্নের পথে হাঁটুক, সবাই এক সুরে।
কবিতার ভাষায়, ফুটে উঠুক নতুন দিগন্ত,
সত্যের আলোয়, মুছুক সব অন্ধকার।
মনের অবকাশে, মিলুক সবার আশা,
বিবেকের বন্দী, হোক মুক্তির সাহস।
নতুন সমাজে, আসুক নতুন আলো,
মানুষের মধ্যে জাগুক, ভালোবাসার ঢেউ।
কলমের খোঁচায়, ফুটুক নব দিন,
সবার হৃদয়ে জ্বলুক, মানবতার দীপ।
হায়রে মানুষ | আসাদুজ্জামান
হায়রে মানুষ অন্যের বিপদে যদি পাশে দাড়াতে না পার,
কিই বা তুমি আর কিই বা তোমার মনুষ্যত্ব,
ছাত্ররা আজ পড়ছে হুমকির মুখে,
তুমি জনগণ চেয়ে আছ মুখ তুলে,
এখন সবার এক হওয়ার প্রয়োজন,
সবাই এখন বজ্রকন্ঠে বলে ওঠ,
আমরা রাজাকার নয় আমরা বাঙালি,
এদেশের বিন্দু থেকে সিন্দু আমরা সবই জানি,
কেন তুমি বললে আমাদের রাজাকার,
আমরা তো চেয়েছি মাত্র আমাদের অধিকার,
ছাত্ররা এখন লড়বে অধিকার আদায়ে,
তখন তুমি কোথায় পালাবে,
সবাই এখন বজ্রকন্ঠে বলে উঠি,
আমরা বাঙালি চায়ছি আমাদের অধিকার,
কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা স্থান পাক,
আমি বাংলা আমিই বাঙালি,
আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে জানি!
ফিরে আসবো | স্বপ্নহীন প্রহরী
ফিরে আসবো নিয়ে
স্বাধীন বাংলার নামটা।
আজ থামিও না আমায়
মা কাদছে দেখ দেশটা।
দেশের কোলে লুটিয়ে পড়ে
দিচ্ছে কত কিশোর প্রাণ।
কোথায় আজ স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র তার ?
কত মায়ের, ভাইয়ের বোনের
রক্ত লেগেছে রাজপথে আবার।
ন্যায্য দাবিতে যদি যায় প্রাণ
দেশের কোলে লুটিয়ে পড়ুক
আজ তবে সবার প্রাণ।
কিসের ভয়, কিসের বাধা লড়তে
যখন হবে লুকিয়ে কেন থাকা ?
ফিরে আসবো মা।
ফিরে আসবো নিয়ে স্বাধীন বাংলার
স্বাধীন হওয়ার নামটা।
আজ থামিও না মা
কাদছে দেখো দেশটা ।
কিসের ভয় | মো.সারোয়ার হোসেন
কিসের ভয় কিসের কি?
এটাকে স্বাধীন বলে নাকি?
আবার উঠো গর্জে তুমি
স্বাধীন করো নিজের ভূমি।
আবার মরনের ডঙ্কা বাজা-কে কুকুর কেইবা রাজা।
ছাড় দিস না একটাকেও।
যে বলবে ” ছেড়ে দে” স্বৈরাচার সে নিজেও।
তার বুকেতে লাথি মেরে
স্বৈরাচারদের আগুন দেরে।
কিসের ভয় কিসের কি?
এটাকে স্বাধীন বলে নাকি?
আবার উঠো গর্জে তুমি
স্বাধীন করো নিজের ভূমি।
মানুষ রূপী পশুদের কালো আগুনের চিতায় জ্বালা।
থুথু মার মুখে ওদের যে বলেছে কো টা ভালা।
(সংক্ষেপিত)
বাতিল চাই নাটকীয় কোটা | এম এ উদ্দীন বিশ্বাস আজু
হাটিহাটি পা-পা করে
বাচ্চারা যেমন হাঁটিতে শিখে ধিরে,
বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ স্বাধীনের পরে
আলোচনা চলছেমুক্তি যোদ্ধাদের ঘিরে।
যে যখন এলো দেশের ক্ষমতায়
সে কি ঐ তালিকা থেকে বাদ যায়,
ঢালাও ভাবে মুক্তি যোদ্ধা সৃষ্টি হয়
রাজাকার ও মোসাহেবের কি দূরে রয়?
এর সূত্রপাত তো নতুন নয়
রক্ষীবাহিনীর দল প্রথম স্থান পায়,
সেই থেকে শুরু সেই চালিয়ে যায়
সরা কে ধরা জ্ঞান মনে হয় না তাই।
নতুন ভাবে সৃষ্টি হলো কোটা প্রথা
যার কিছু বুঝি না আগামাথা,
জ্ঞান ও যোগ্যতা ছাড়া সব- ই হয় যেখানে বৃথা
এখন তো রাজাকার আর মুক্তি যোদ্ধারা একসাথে গাঁথা।
উপর মহলে-ই বেশি দেখা যায়
তারাই নাকি বেশি বড়ো বড়ো কথা কয়,
হৃদয় মাঝে অনেক বেদনা তবুও মুখ বুঁজে সহ্য করতে হয়
দলের প্রধান হয়েও দুই মেলবন্ধনের মেজবান হন মহাশয়।
হাতে থাকলে ক্ষমতার দাপট
রাত কে দিন করা যায়,
কেউ প্রতিবাদ করলেই দেওয়া যায় চপট
নিজেদের আগলে রাখা হয়।
পরিবার নীতির নীতিমালা বুঝা দায়
স্বাধীন করেছিল বাংলাদেশ কেন হায়,
তরুণ ছাত্র সমাজ এর রক্তে আজ-র রাজপথ রঞ্জিত হয়
স্বাধীনতার স্বাদ হারালো কোথায়?
স্বাধীনতার পরের দিন থেকে শুরু
স্বাধীনতার স্থাপতিরায় এর গুরু,
কেউ সত্য বিষয় তুলে ধরলে-ই কুঁচকায় তাদের ভ্রু
শিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদের গায়ে হাত তুলছে এরা কোন গরু।
আজও স্মরণ করি শ্রদ্ধা ভরে
সেই বুদ্ধিজীবী ও মুক্তি যোদ্ধাদের,
মাথা নত করি তাদের ত্যাগের তরে
তবে শিক্ষা কেন্দ্রে কোটা কেন মেধায় দিবে স্থান করে।
পাকবাহিনী মেধা শূন্য করতে চেয়ে ছিল বুলেট দিয়ে
অনেক তাজা প্রাণ সেদিন নিয়ে ছিল কেঁড়ে,
এখন স্মার্ট বাংলাদেশে মেধা শূন্য হবে স্মার্ট বুদ্ধি খাটিয়ে
তা-ই তো প্রশাসন নয় একদল সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদের আসছে তেড়ে।
আর নয় কোটা প্রথার প্রচলন
মেধার ভিত্তিতে হোক ছাত্রদের নির্বাচন,
চাকরির ক্ষত্রে না হয় বিবেচনা করবে কমিশন
সরকার উপহার দেন মুক্তি যোদ্ধাদের নতুন নতুন আবাসন।
এ-ই নাটকীয় কোটা প্রথার চাই অবসান
শুধু সকলের সমান অধিকার নয় মুক্তি যোদ্ধাদের করতে সম্মান,
যুদ্ধ আর কৌশল প্রকাশ করে হারাচ্ছে তাদের মান
আত্মার প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবো যাবে যাক প্রাণ।
মুক্তি যোদ্ধার পরিবারকে করা হোক সম্মানিত
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে তাদের শানিত,
তাদের ত্যাগের মহিমা রবে অম্লান ও রক্ষিত
তবে অবশ্যই জাতি কে চাই সত্যিকারের শিক্ষিত।
তাং- ১৭/০৭/২০২৪ ইং
ফিরিয়ে নাও ঘাতক তরবারি | শ্যামল চৌধুরী
আর কতকাল ছড়াবে রক্ত
পদ্মা মেঘনা যমুনায়,
এবার রুদ্ধ করো তোমার
জিঘাংসা,
নিভাও তোমার রূঢ় দাবানল,
ফিরিয়ে নাও ঘাতক তরবারি।
জেগে উঠো বাংগালী | স্বপ্নহীন প্রহরী
জেগে উঠো বাংগালী
কত নিশ্চুপ এই রাত
কালো হাতে রক্ত্বের দাগ
সহস্র মানুষ এর আত্তদান।
কে কোথায় চলে এসো এবার।
তোমারই ভাইয়ের তোমারই
বোনের রক্ত লেগেছে রাজপথের
বালু কোনায়।
রুখে দাঁড়াও ভেংগে দাও
পাপিস্ত দের হাত।
আকাশ জানাচ্ছে প্রতিবাদ
অমানুষ দের হাতে হাতে
কত পুস্পের গিয়েছে লাজ।
কত কালো এই রাত ভুরের
আলো ফুটবে কি আর?
দেখেনি কি কেহ শুনেনি কি
কেহ তাহাদের আত্তদান?
রক্তে রাঙ্গা কালো রাত
জেগে উঠো বাংগালী ঘুমিও না আজ।
আজ যে জেগে উঠেছে সেই ৫২ র রাত।
মোরা ছাত্র, মোরা সাহসী | মাহাবুব
মোরা ছাত্র, মোরা সাহসী, মোরা নওজোয়ান!
মোদের নিয়ে খেলা করো না,
মোরা দস্যুদের ভয় করি না!
আমার ভাই বোনের রক্তে রঞ্জিত,
মোদের চোখে রক্তের নিশানা,
মোদের শক্তি, মোদের মনোবল!
ওরা দস্যু, ওরা দস্যু, ওরা দস্যু,
ওদের মানুষ পেটাতে বুক কাপে না,
দস্যুদের গুলিতে_
মোরা বুক পেতে দিতে ভয় করি না!
দস্যুরা গুলি করে ঝাঁজরা করেছে,
আমার ভাইয়ের বুক,
কত আছে বুলেট? কর গুলি
পেতে আছি কোটি কোটি বুক!
সূর্য উঠলেও সরেনি মেঘ,
মেঘ সরিয়ে আনবো মোরা,
রক্ত দিয়ে কেনা এই দেশে _
মেধার মূল্য একদিন,
আমরাও হবো স্বাধীন,
নতুন সূর্য, নতুন করে হবে দেশ স্বাধীন!
স্বাধীনতা আসবে | স্বপ্নহীন প্রহরী
এ কেমন স্বাধীনতা স্বাধীন
হয়েও হয়নি স্বাধীন দেশ?
রক্তে রক্তে হচ্ছে খেলা দেখছে
না মানুষ এ কেমন শূন্য হাতে
মৃত্যু নীলা। কোথাও পথে,
কোথাও মাঠে হচ্ছে প্রতিবাদী
গান ধামিয়ে দিচ্ছে পশু একি
অবুঝ মানুষের দান ।
শূন্য হাতে জীবন দিল স্বাধীনতার
নামে পরাধীনতা এ কেমন দেশ ।
স্বাধীন হয়েও হয়নি স্বাধীন
এ কেমন দেশ?
পরাধীনতার আচলে ঢাকা
পিঠে তার রক্ত ক্ষত।
মানুষ রূপে অমানুষেরা
করছে নৃত্য একি দেখো।
ডাকবে কে সে, চলবে কে সে
মৃত্যু নিলায় মাতবে সে কে?
হাজারো পথের পথিক হয়ে
ডাকবে সে পরাধীনতার
আঁচল ছুঁয়ে বলবে
স্বাধীনতা আসবে,
আসবে, আসবে
স্বাধীনতা আসবে।
কোটা নীতি ও দুর্নীতি | আনোয়ারা
এক কোটা,দুই কোটা, তিন কোটা, চারে চারে ষোল কোটা;
এখান দিমু বিয়ানের বাড়ী আর একখান শ্যলিকার চ্যালা।
বড় ভাই যাবে শশুর বাড়ী, হাড়ি-মিঠাই মন্ডা-মাঠা;
চিড়েকোটা দেব ননদের ঘড়ে, জেলাপির প্যাচে পরেছে সালা।
কোটা না পেলে বিয়ে দেবেনা বলেছে দেবরের খালা,
আরো কোটা আছে নানার বাড়ী আম-কাঁঠালের মেলা।
মামা বলেছেন, সচিবের ছেলে যেন আদরের হয়না হেলা।
মজুরের সন্তান ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে বাজারে তালি বাজা!
সাবাস বেটা, বাঘের বাচ্চা, রোল হয়েছে এক,
দেখবে ধরণী, সাজাবে সরণি, তোরা সবাই দেখ-
কিন্তু না…
কোটা পেলনা বলে, তাকে বাবার আলুক্ষেতে মই দিতে হল!
কেন পড়লাম অনার্সে বাংলা?
তারচে ভাল উঠান মাঝি পোর্ট মংলা!
কেন যে নিলাম রসায়নের রস?
তারচে ভাল বেচতাম টমেটোর সস!
কেন পড়লাম ত্রিকোনমিতি?
তাই বুঝি আজ দেশের ভূয়া নীতি।
কেন পড়লাম সাইকোলজি?
তারচে ভাল ছিল করতাম স্টানবাজী!
কেন পড়লাম অর্থনীতি?
তারচে ভাল ছিল করতাম দূর্নীতি!
কোন পড়েছিলাম ইংলিশ জেন্ডার?
তারচে ভাল ছিল শুধু ভরতাম টেন্ডার!
কেন মা কেন পড়লাম বিজ্ঞান?
ঐতো ভাল আছে যার নাই সভ্যতার জ্ঞান!
-২১.০৪.২০২২
বেখেয়ালি জনগণ, আজ সচেতন | মোঃ আরফাত
এই মোর সুপ্রিয় মাতৃভূমির কোথায় গেল শান্তি
কোথায় গেল স্বাধীনতা?? কোথায় গেল সম্প্রীতি?
বেখেয়ালি জনগণ,
হয়েছি আজ সচেতন।
চাই বলে ফিরে পেতে মোদের অধিকার,
উপহাস করে মোদের বলে রাজাকার, রাজাকার।
প্রতিবাদে করতে হয় যদি করবো মোরা এই বাংলার মাটি দু খন্ড,
কেড়ে নেবো মোরা অন্যায়কারী ও খোটা বাদীদের মূন্ড।
এক হও এক হও হে বাংলার জনসাধারণ,
সত্যের পথে থাকব মোরা যদিও করতে হয় মরণ বরণ|
মানবতার বন্ধু হবো | ফারহানা সুমনা
স্বাধীন দেশের মুক্ত চাওয়া
ন্যায়ের সাথে যুক্ত হওয়া,
সাদা কালোর তফাৎ বুঝে
সত্য ভাষায় কথা কওয়া।
দেশটা আমার, জাতিও আমার
বাংলা, আকাশ, মাটিও আমার।
স্বাধীনভাবে কথা কওয়ার
অধিকারের ভাষাও আমার।
আলোর হাতে আলোর মিছিল
অন্ধকারের রুদ্ধ দুয়ার।
আষ্টেপৃষ্টে ধরছে যেন
রুখতে মোদের শুদ্ধ জোয়ার।
আজকে যারা বিপরীতে
ঠাঁই দাঁড়িয়ে লড়াই করো।
ভাইয়ের দেহের রক্ত ঝরাও
পৈশাচিকের হুল্লোড় তোলো।
দেশ ও জাতির ভালোর মাঝে
নিজের ভালোর পৃথক করো।
সে ভালোতে বাঁচবেনা দেশ
হারাবে প্রাণ স্বজনদের ও।
পরাধীন এর বেড়ী পরাও
স্বাধীন দেশকে খাঁচায় ভরো,
কেমন মানুষ? বিবেক তোমার
ভাইয়ের সাথে যুদ্ধ করো।
দেশকে যারা ভালোবাসো
এসো মোরা শপথ করি।
সত্য, সঠিক, ন্যায়ের কথায়
মানবতার দেয়াল গড়ি।
টাকা, কড়ি,মানিক,হীরা
দেশের চেয়ে হয় কি দামী?
ভালোবাসায় রই বেঁচে রই
স্বাধীন দেশের,তুমি,আমি।
রাজপথ ডাকছে | জাহিদ আল রাজী
আগ্নেয়ঊর্মি টলোমলো দুলছে
শ্লোগানে শ্লোগানে রাজপথ ফুলছে।
অধীকার ফিরে পেতে
রক্তাক্ত রাজপথে
আগুনের ফুল্কিরা ছুটছে।
শিকল ভাঙার ডাক এসেছে
ঘুমিয়ে কারা রয়?
জালিমের ঐ কঠোর দূর্গ
আজই করতে হবে জয়।
ঘুমন্ত রাতের আজ নতুন প্রভাত
জালিম-স্বৈরাচার যাক নিপাত,
বজ্রকীট হুঙ্কারে শ্লোগানের ডঙ্কারে
আন্দোলিত দুয়ার খুলছে।
পতাকা আর মানচিত্র আজ
শকুনের কব্জায়,
আমার স্বাধীন বুকের জমিন
জালিম-দোসর অশুর খামচায়!
তাইতো পথের ধুলো আজ–
টগবগিয়ে ফুটছে!
হে জননী, পিতা-মাতা-ভ্রাতা-ভগ্নী
ঘুমিয়ে আছো কোন স্বাদে
সন্তান, ভাই, ভগ্নীরা রাজ পথে,
ছাত্র- জনতার সাথে মিলে
রক্তবীজের রক্ত ঢেলে —
অধীকার আদায়ের আওয়াজ তোলো একসাথে!
শোনো ঐ বাজছে দামামা,
হে তরুণ- তরুণী,
দেশ আজ তোমাকেই ডাকছে ।
বাহান্ন’র সেই ভাষার দিনে
হয়েছে মোদের জয়,
জালিমের রক্তচক্ষু
আর করিনা ভয়!
ভুলেগেছো কি সেই শাপলাচত্বর?
প্রেরণার বাতিঘর শাহবাগ মোড়,
টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য
এক পথে মিলেছে।
ওরা কার, স্বাধীনতা কেড়ে নিতে–
স্বৈরাচারের হাত ধরেছে?
~ কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ।
ছবিতে: কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ,আবু সাঈদ ভাই (বেরোবি)