আমি তো দেখেছি আকাশে বাতাসে ,
বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে,
শিশির ভেজা দূর্বা ডগায়,
ভাসমান নদ-নদী আর,
শস্যরাজির পরতে পরতে ,
রক্ত সিক্ত শহীদের আনাগোনা :
শহীদের আত্মার আনাগোনা!!
দেখেছি বদ্ধ জলাশয়ে আর ঝিলের ধারে,
কচুরিপানার ফাঁকে ফাঁকে,
ফুটন্ত শাপলার হাসি-
লাল পদ্মের হাসি।
এ যেন রক্তের হাসি,শহীদের রক্তের হাসি।
দেখেছি কৃষকের ব্যাস্ত কদম,বৌরানির বদান্যতা,
রাখালের স্বাধীনতা,হরিণ শিশুর তৃণে চড়া,
নদীর কলকল, শিশুদের লাফঝাপ,
ফুল- ফল সমারোহে,
মক্ষিকা দলের নাচ আর পাখির কলতানে,
অবারিত কলতানে,নেই কোন ছন্দপতন।
শুনেছি জাতীয় সংগীতের ছন্দ সুরে,
সুজয় স্যারের হারমোনিয়ামে,
রেডিও – টেলিভিশনের এরিয়েলে ভেসে আসা-
সুদীপ্ত গায়কের গান ,সেই স্বাধীনতার গান।
মহান সংসদ আর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে-
দেখেছি লাল সবুজের পতাকা।
সেই পতাকায় লাল সবুজের রঙ ;
কপালে ভাঁজপড়া সেই বৃদ্ধ দাদু,
আর তার সঙ্গিনীর হাসি,যেন স্বাধীনতার হাসি।
সেই শুভ্র হাসি দেখে ভেবেছিলাম –
আমি স্বাধীন দেশে জন্মেছি।
( কবিতার কিয়দংশ)
সাইফুল্লাহ মামুন,
প্রভাষক(ইংরেজি), সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজ, সখিপুর, টাংগাইল।
শেয়ার করুন
/









মন্তব্য করুন